or

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে, তাতে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র পর্যটনের উন্নয়নে বিশদ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হলে সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের সামনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের মর্যাদায় উন্নীত হতে দেশকে এগিয়ে নেবে সমুদ্রভিত্তিক এই অর্থনীতি। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্র পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ এবং ডেলটা প্ল্যান-২১০০-এ পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। বাংলাদেশের সমুদ্রভিত্তিক পর্যটনে সময়োপযোগী ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান, অর্জিত হবে এসডিজি, শক্তিশালী হবে জাতীয় অর্থনীতি এবং পর্যটনশিল্প প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ অর্জনে অংশীদার হবে।

আরও পড়ুন: পর্যটনে রাজস্ব বাড়াতে আইন সংশোধন হচ্ছে

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বিশ্ব জিডিপির ৫ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের ৬-৭ শতাংশ উপকূলীয় ও সমুদ্র পর্যটন থেকে আসে, সেখানে আমাদের আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় ও সমুদ্র পর্যটন উন্নয়নে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।’

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নাফ টুরিজম পার্ক, সাবরাং টুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো টুরিজম পার্ক স্থাপনের কাজ চলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই তিনটি পর্যটন পার্ক স্থাপনের ফলে দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও বছরের দুই বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়াও কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, কক্সবাজারে খুরুশকুলে শেখ হাসিনা টাওয়ার, এথনিক ভিলেজ ও নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মুজিব শিল্পনগরের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করতে বেজাকে অনুরোধ

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনভিত্তিক ইকো-টুরিজমের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক ক্রুজ পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে।

এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। এ ছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যটন অংশীজন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।