mob

গত শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে অবৈধ মুঠোফোন শনাক্তের ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পর এসব অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত হয়।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, যেসব মোবাইল ফোন অবৈধ হিসেবে শনাক্ত হবে এবং শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন পাবে না, সেগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১টি মুঠোফোন শনাক্ত হয়েছে যার তথ্য বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে নেই। এর অর্থ, এসব ফোন অবৈধভাবে আমদানি অথবা প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় নিয়ে এসেছেন।

বিটিআরসির মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, অবৈধ সব ফোন বন্ধ হবে, এটা নিশ্চিত। তাই গ্রাহকের উচিত যাচাই করে মুঠোফোন কেনা।

প্রসঙ্গত, দেশে নকল ও অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানি ঠেকাতে গত ১ জুলাই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার-এনইআইআর কার্যক্রম চালু করে বিটিআরসি। এই ব্যবস্থা চালুর দিন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত- অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে আনা স্মার্টফোন কিংবা অবৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। শুধু তাই নয়, নেটওয়ার্কে থাকা হ্যান্ডসেট কিংবা নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : অবৈধ মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু

কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য বিটিআরসির ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে গ্রাহকদের। এরপর পাসপোর্ট, ভিসা ও কেনার রশিদ আপলোডের মাধ্যমে করা যাবে নিবন্ধন। ফোনটি সেট বৈধ কি না তা জানা যাবে এসএমএসের মাধ্যমে।

কমিশন জানায়, এনইআইআর ব্যবস্থা চালুর পর দেশে প্রতিদিন এক লাখ ১০ হাজার নতুন মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশই অবৈধ ও নকল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ হিসাবে প্রতিদিন গ্রাহকের হাতে আসা ১১ হাজার অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট চিহ্নিত হয়েছে। অবৈধ হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া মাত্র গ্রাহকের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা চলে যাচ্ছে তার সেটটি ‘অবৈধ বা নকল’।

মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD ও ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করে ক্রয় করার জন্য বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও, বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে আসা অনুমোদিত সংখ্যক মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের পূর্বে (www.neir.btrc.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে বলা হয়েছে।