দিপু সিদ্দিকী/ডেইলি প্রেসওয়াচঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ কবির হোসেন চেয়ারম্যান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও ‘জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন কমিটি’র আহ্বায়ক এ. কে. এম. নূরুল ফজল বুলবুল, এপিইউবি’র সেক্রেটারি জেনারেল বেনজীর আহমেদ বক্তব্য রাখেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন
অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটা অন্ধকারের মধ্যে রেখে তাদের বড় করা হয়েছে। যে কারণে তারা বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত জানার সুযোগ পায়নি। শিক্ষা ব্যবস্থা, আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে সত্যিকারের সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে, যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা বুঝতে চাইলে আওয়ামী লীগের জন্মকালীন ইশতেহার ও ’৭০ সালের নির্বাচনি ইশতেহার পড়তে হবে। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও জাতীয়করণ এবং কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও প্রকাশনা বাড়াতে হবে, সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না, শিক্ষার এত বিস্তার হতো না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ে উঠতে পারতো না। উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিনিয়োগের এত সুযোগ সৃষ্টি হতো না।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও পড়ে। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে সবার আগে এগিয়ে এসেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
সভাপতির বক্তব্যে শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে গেছেন। ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হলেও যারা এর নেপথ্যে ছিল তাদের বিচার হয়নি। দেশের প্রবীণ নাগরিক হিসেবে আমার জীবদ্দশায় তাদের বিচার দেখে যাওয়ার প্রত্যাশা করি।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন ক্লাস করতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেসব সুবিধা দেওয়া হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও যেন একই সুবিধা দেওয়া হয়। তিনি ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড স্মরণে এই দিনটিকে ‘জাতিসংঘ কালো দিবস’ ঘোষণার দাবি জানান।