ক্ষমা চাওয়ার পরেও জরিমান গুনলেন মুশফিক

ডেইলি প্রেসওয়াচ রিপোর্টঃ এবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদকে দুবার মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় ভক্ত অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েও ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমান গুনতে হচ্ছে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) মুশফিকের শাস্তির বিষয়টি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি’র মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ।

এর আগে আজ মুশফিক জানিয়েছেন, ম্যাচ শেষে নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এমন কিছু ভবিষ্যতে আর করবেন না বলেও জানিয়েছেন দেশের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

গতকাল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ঘটে নজিরবিহীন ঘটনা। তাও আবার দুবার! আবেগ ধরে রাখতে না পেরে মুশফিক হাতে বল থাকা অবস্থায় সতীর্থ নাসুমের দিকে দুবার তেড়ে যান। উদ্যত হন তাকে মারতে!

এদিকে আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করেছেন মুশফিক।

ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, প্রথমত, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি।

দ্বিতীয়ত, আমি স্রষ্টার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কথা দিচ্ছি, নিকট ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে কিংবা বাইরে আর হবে না।

এর আগে, সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মেজাজ হারান মুশফিক। নাসুমকে মারতে উদ্যত হন দুবার। ১ম ঘটনাটা বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে। নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম ও মুশফিক। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত এ ক্রিকেটার বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন!

পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। শফিকুলের বলে আফিফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন!

তখন স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা, উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান। অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচ জুড়েই উইকেটের পেছন থেকে বাজে আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে।

Share: