padma

আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেখে আসা স্বপ্নের পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নের এক পূর্ণাঙ্গচিত্র বাস্তবায়িত হতে চলেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ সেতুর সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১তম স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে পদ্মার দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হবে। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আগামী বছর ডিসেম্বরে সেতুটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার দুপুরের পর মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ শেষ স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার পর ক্রেনটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পৌঁছায়। স্প্যানটি ছয়টি ক্যাবলের (তার) মাধ্যমে ভাসমান ক্রেনের ওপর অবস্থান করছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজই পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হবে। প্রথমে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি পজিশনিং করবে। এরপর স্প্যানটি ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। পরে রাখা হবে দুটি পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। স্প্যানটি বসানোর জন্য ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হলেই দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। প্রথম স্প্যান থেকে শুরু করে ৩৯তম স্প্যান বসানো পর্যন্ত সময় লেগেছে তিন বছরের ওপর।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।