wali

বাংলার মাটিতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। এখনো পাঁচজন আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার একটা প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের কূটনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম সফলতা। বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে সরাসরি যারা জড়িত তাদের পাশাপাশি নেপথ্য কারিগর হিসাবে যারা কাজ করেছেন, তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।

রোববার (২৬ জুলাই) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালি-উর-রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া এবং তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালি-উর-রহমান বলেন, রাশেদ চৌধুরী নিঃসন্দেহে আদালত কর্তৃক প্রমাণিত বঙ্গবন্ধুর খুনি। তিনি রাশেদ নানা ছলে কলে বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি নাকি সরাসরি বঙ্গবন্ধু হত্যার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি নাকি বেতার ভবন দখলের কাজে ছিলেন। এটা নাকি তার ওপর নির্দেশ ছিল। এ কারণে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে গত ১১ বছর ধরে আমেরিকায় আছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪ বার বলেছেন, রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে। আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, একমাস আগে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্তের সংঘর্ষ হলো। এই সময়ের মধ্যেও আমেরিকা অনেকটা ইচ্ছে করেই রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ফাইলটা ওপেন করা হচ্ছে। এটাতে আমি সাধুবাদ জানাই। আমার কাছে খবর আছে, বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিম কেনিয়াতে বড় ব্যবসায়ী হয়েছে। রাশেদ চৌধুরী এখন পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকায় থাকছে। সে মাঝে মাঝে পাকিস্তান ও চীনে যাওয়া আসা করে। তাদের কাছে অনেক টাকা আছে। পাকিস্তান এখনো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের টাকা দিচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রশিদ চৌধুরীকে ঢাকায় ফেরত পাঠাতে পারবো বলে আশা করছি।