কুলকিনারাহীন নদীপথ ঈদে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার শঙ্কা

একদিকে নেমে আসা বন্যার পানি আর অন্যদিকে টানা বৃষ্টি। এতে কুলকিনারাহীন হয়ে পড়েছে নদীপথ। বেড়েছে নদীর স্রোতও। তাই আসন্ন ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার শঙ্কা করছেন মাস্টার ও চালকরা। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ঈদের আগেই পুরো নৌপথে বয়া-বাতি নিশ্চিত করা হবে। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সামাজিক দূরত্ব ও যাত্রা ঝুঁকিমুক্ত করতে কোন ছাড় দেয়া হবে না।

কূল কিনারাবিহীন নদীপথ। যেদিকেই চোখ যায় পানি আর পানি। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির ঢলে তা আরো ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

বিআইডব্লিউটিএর তথ্যানুযায়ী, পানি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ সময়ের চেয়ে নৌ পথ দেড় গুণেরও বেশী বেড়ে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। ফলে কোনটি নদীর মূল চ্যানেল আর কোনটি চর তা বুঝতে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয় বলে জানিয়েছেন লঞ্চের মাস্টাররা। তাই মিয়ারচর চ্যানেল খুলে দেয়া ও শতভাগ পথ নির্দেশক না বসালে ঈদ মৌসুমে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।

লঞ্চ মাস্টারদের একজন বলেন, ‘কোনটা নদী কোনটা চর বোঝার কোনো কায়দা নেই। অনেক জায়গায় পর্যাপ্ত বয়াবাতি নেই।’

মালিকরা বলছেন, যাত্রীচাপে ঈদে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হয়তো সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিক সমিতি সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘ঈদে দূরত্ব মেনে কেউ ট্রান্সপোর্ট চালাতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।’

বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ মন্ত্রণালয় বলছে, নদী পথ নিরাপদ রাখতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি দক্ষ মাস্টার ছাড়া লঞ্চ চালায় তাহলে শক্ত ব্যবস্থা নেবে তারা।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘পথ নির্দের্শক বসাতে একটু সময় লাগে কারণ স্রোত এখন একটু বেশি। যদি দক্ষ মাস্টারকে দিয়ে লঞ্চ চালানো হয় তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’

আসন ঈদে এ পথের ৪২টি নৌ রুটে প্রায় ২২০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করতে প্রস্তুত রয়েছে।